আবুল কালাম ,চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানাধীন রহমান বাগ আবাসিক এলাকা হতে ২৫ বছরের অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করে হালিশহর থানা পুলিশ।
ওই ঘটনায় বাসার কেয়ারটেকার নূরনবী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন হালিশহর থানায়, দীর্ঘদিন সময় দিয়ে রহস্য উদঘাটন করে হালিশহর থানা পুলিশ, এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ, মামলার প্রধান আসামি মোঃ সোহাইদ, ও নাহিদা আক্তার।
মঙ্গলবার হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য তুলে ধরেন মোঃ আব্দুল ওয়ারিস উপ-পুলিশ (পশ্চিম) সিএমপি তিনি বলেন, আসামি চারটি বিয়ে করেন ছদ্মনাম রেজাউল করিম দিয়ে, প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে রাখেন।
ছদ্মনাম ব্যবহার করাতে আসামিকে শনাক্ত করতে পুলিশের অনেক সময় লাগে, আসামির চতুর্থ স্ত্রী ভিকটিম লাকী আক্তার এর চাল চলনে সন্দেহ করতো সেই, তাদের পারিবারিক কলহ সব সময় লেগে থাকত, একপর্যায়ে তৃতীয় স্ত্রী সহযোগিতায় হালিশহর রহমান বাঘের বাসায় ভিকটিম লাকী আক্তারকে হত্যা করে আসামি।
হালিশহর থানা পুলিশের বিশেষ টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুলনা বাগেরহাট থেকে আটক করে আসামিকে পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে তৃতীয় স্ত্রী নাহিদা আক্তার কেও আটক করে।
ঘটনার দিন ১৬ ই জুলাই ২০২০ ইংরেজি সারারাত ঝগড়াঝাটি হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একপর্যায়ে মারধোর করে লাকী আক্তারকে, লাকি আক্তার অচেতন হয়ে পড়লে, তখন লাকী আক্তারের জামা কাপড় খুলে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ভিকটিম লাকী আক্তার (২৫)কে।
ঘটনার সময় এই হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি নাহিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন, পরে দুইজন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা আত্মগোপনে চলে যায়, দীর্ঘদিন দুইজন আত্মগোপনে ছিল অবশেষে দীর্ঘদিন পর হালিশহর থানা পুলিশ আসামিদের কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
হালিশহর থানা পুলিশের সফল চেষ্টায় এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হয়, আসামিস সোহাইদ ভুয়া এনআইডি কার্ড বানিয়ে একাধিক বিয়ে করেন বললে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।